ঝড় ও ভারি বন্যায় বিপর্যস্ত যুদ্ধরত দুই দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেন। ঝড়ের তাণ্ডবে কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যম। এছাড়া ঝড়ের কারণে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি। ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

এদিকে, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারতের গুজরাট। ভারীবৃষ্টি ও বজ্রপাতে রাজ্যটির বিভিন্ন জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে।

অন্যদিকে, মাত্র আধাঘণ্টার ব্যবধানে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পাকিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি এবং চীন।

ভয়াবহ তুষারঝড় আর বন্যায় বিপর্যন্ত কৃষ্ণ সাগর উপকূলের ইউক্রেন ও রাশিয়ার সীমান্ত এলাকা। রাশিয়া জানিয়েছে, দাগেস্তান, ক্রাসনোদার ও রোস্তভের পাশাপাশি ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন, জাপোরিঝিয়া ও ক্রিমিয়া বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ১৯ লাখ মানুষ। আর ইউক্রেন জানিয়েছে, তুষারঝড়ের পর  দেশের ২ হাজার ১৯ টি গ্রাম ও শহরে বিদ্যুৎ নেই।

তুষারঝড়ের কারণে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর অনেক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে গাছপালা। পানিতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট। ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাশিয়া ও ইউক্রেনের পাশাপাশি মলদোভা, জর্জিয়া এবং বুলগেরিয়াতেও তুষারঝড় হচ্ছে।

এদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও বজ্রপাতে ভারতের গুজরাটে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২শ’ একর জমির ফসল। এছাড়া বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে তামিলনাড়– রাজ্যের জনজীবন। অনেক জায়গায় ও রাস্তাঘাটে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা।

অন্যদিকে, ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পাকিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি এবং চীন। সোমবার দিবাগত রাতে

পাপুয়া নিউ গিনিতে ৬ দশমিক ৫, পাকিস্তানে ৪ দশমিক ২ ও চীনে ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে, এসব ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।